ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেনস্কি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া নিজ বক্তব্যে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন।
যেলেনস্কি মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো অধিবেশনে ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও, রাশিয়া খাদ্য সরবরাহের মতো ‘অন্যান্য অনেক কিছুকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে’ যা শুধু ইউক্রেইন নয়, অনেক দেশকে প্রভাবিত করছে।
তিনি বলেন, বন্দর, শহর ও অবকাঠামো রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আক্রমণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যেলেনস্কি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, দখলকৃত অঞ্চলগুলোর স্বীকৃতির জন্যে রাশিয়া বিশ্ববাজারে খাদ্য ঘাটতিকে অস্ত্রে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে।’
তিনি যোগ করেন, রাশিয়া অস্ত্র হিসাবে খাদ্যের মূল্যকে ব্যবহার করছে।
যেলেনস্কি যুদ্ধ চলাকালীন ইউক্রেনীয় শিশুদের জোর করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার নিন্দা করেছেন এবং একে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কয়েক হাজার শিশুর নাম জানি। ইউক্রেইনের অধিকৃত অঞ্চলে রাশিয়ার হাতে অপহৃত এবং পরে নির্বাসিত হওয়া আরও কয়েক হাজারের প্রমাণও রয়েছে।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) মার্চ মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ান কর্মকর্তা মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়ায় নির্বাসনের পরিকল্পনার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যেলেনস্কি যোগ করেন, ‘আমরা বাচ্চাদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু সময় চলে যাচ্ছে। তাদের সাথে কী হবে? তাদের কী হবে? রাশিয়ায় ওই শিশুদের ইউক্রেইনকে ঘৃণা করতে শেখানো হয়। তাদের পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এটি স্পষ্টতই একটি গণহত্যা’
যেলেনস্কি আরও অভিযোগ করেন যে, রাশিয়া জাপোরিজ্জিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রকে পারমাণবিক অস্ত্রে পরিণত করছে।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে পরাস্ত করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান যেলেনস্কি।