বাংলাদেশের ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে ক্যামেরুন একটি হাব হিসেবে কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গতকাল রাজধানীতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের একটি আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ সরকারের মেয়াদকালেই “লুক আফ্রিকা” নামে একটি পলিসি আরোপ করেছি, যার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নতুন করে আমাদের দূতাবাস খোলা হয়েছে। আপনারা খেয়াল করবেন, বাংলাদেশ ও ক্যামেরুনের মধ্যে বিভিন্ন মিল রয়েছে।’ এছাড়া ক্যামেরুনের মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে এগিয়ে গেছে। ক্যামেরুনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য আছে। আমরা কটন ইমপোর্ট (আমদানি) করি, কিন্তু এক্সপোর্ট (রফতানি) করি খুবই কম। যেটি বলেছি, আমরা ক্যামেরুনে রফতানি বাড়াতে চাই। আমাদের রফতানি খুবই অল্প, আমদানি প্রায় ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মতো। আমরা এখন সেখানকার সুযোগ ব্যবহার করতে চাই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফ্রিকান কন্টিনেন্টে যেসব দেশ সবুজ, মরুভূমি ছাড়া, সেখানে কৃষি খাতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা করছি। আফ্রিকার একাধিক দেশের সঙ্গে আমরা চুক্তিও করেছি, সফরও করেছি। ক্যামেরুনও সে রকম একটি অপরচুনিটির হাব হতে পারে। ক্যামেরুন যেহেতু আফ্রিকার একেবারে সেন্ট্রাল পজিশনে এবং স্ট্যাবিলিটির দিক থেকে ক্যামেরুনের স্ট্রাকচার ভালো, বহির্বিশ্বের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ ভালো, সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশের ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে ক্যামেরুন একটি হাব হিসেবে কাজ করতে পারে।’
আলোচনা সভায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, বিনিয়োগকারী ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।