পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৫ আগস্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পর মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিবিসি।
পাকিস্তানের আইন অনুসারে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া কোনও ব্যক্তি নিবার্চন কমিশন দ্বারা নির্দিষ্ট সময় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এ সময়সীমা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর হতে পারে। শনিবার ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাকে তার লাহোরের বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর ইসলামাবাদের কাছে একটি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসিপি জানায়, পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩ অনুচ্ছেদের ১–এইচ ধারা এবং ২০১৭ সালের নির্বাচন আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলো। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরানের সরকার। এর পর থেকে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসা ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-২২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতের কারাদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেছেন ইমরানের আইনজীবীরা। বুধবার এই আপিলের শুনানি হতে পারে।