Saturday, March 15, 2025
Homeরাজনীতিক্ষমতায় থাকতে বিজেপি-আ.লীগ চুক্তি করেছে: ভিপি নুর

ক্ষমতায় থাকতে বিজেপি-আ.লীগ চুক্তি করেছে: ভিপি নুর

ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করেছে বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে, তাদের সাথে চুক্তি করেছে, তারা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ-জনগণ, দেশের মানুষের ধর্ম-কর্ম নিরাপদ নয়।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘সরকার দুটো কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এক, প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকায়। দুই, এই সরকারের ফাদার-মাদার, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে টিকিয়ে রেখেছে, সেই ভারতীয় আগ্রাসন ও আদিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায়।’

নুর বলেন, ‘এসব কারণে বারবার আমার ও আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের ছাত্র, যুব, শ্রমিকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতি নজরদারি, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।’

হামলা-মামলা,হুমকি-ধামকি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে না মন্তব্য করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্র নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দিন।’ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।

সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না ধরা শুরু করেছে। তবে এইবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থাকা যাবে না। এইবার গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।’

রাশেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনে রাজপথে থাকার বিকল্প নেই। কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপে ক্ষমতার পালাবদল হলে, আমাদের সারাজীবন মেরুদণ্ডহীন থাকতে হবে। সুতরাং স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে শ্রীলঙ্কার জনগণের মতো রাজপথেই মুক্তির আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিংগেল মোড়, বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

আরও পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -
Google search engine

জনপ্রিয় খবর